#সারাবাংলা

লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আহসান হাবীব খোকন বহিষ্কার

লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আহসান হাবীব খোকন বহিষ্কার

ডেস্ক রিপোর্ট:
আজ যশোর জেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন এক প্রেস রিলিসের মাধ্যমে শার্শা উপজেলা লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আহসান হাবীব খোকন অরফে মুতাসাম খোকন কে বি এন পির প্রথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে এবং লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের তার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ না করতে নির্দেশ দিয়েছে।এই মুতাসাম খোকন আওয়ামিলীগের আমলে দীর্ঘ ১৫বছর আওয়ামিলীগের সাথে গাঁ মিলিয়ে চলেছে এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহারবের ব্যবসায়ী পার্টনার ছিলেন।এই সোহারবের সাথে তার সব থেকে বেশি দহরম মহরম আছে। তিনি ঢাকা এসে সোহারব ও নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাবেক চেয়ারম্যান কালামের এর সাথে ফকিরাপুল এক হোটেল আড্ডা দেয়। ৫ই আগষ্টের পরে এই মুতাসাম খোকন হয় বি এন পির সব চেয়ে বড় নেতা, তিনি লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন ও নিজামপুর ইউনিয়নে গড়ে তলে সন্ত্রাসী বাহিনী।

এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করেছে সোনানদীয়া বাওড়, মুক্তদাহ খামারপাড়া বাওড়, চান্দাবাজী করছে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থকে কিন্তু কেউ ভয়ে মুখ খলেনি এতো দিন।মুতাসাম খোকনের সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রথম সেনাপতি হলো সোনানদীয়া গ্রামের মগরব আলী, তিনি ৫ই আগষ্টের আগে লোকের কাছ থেকে টাকা চেয়ে বাজার করতো কিন্তু ৫ই আগষ্টের পরে আজ তার তিন টি মটর সাইকেল আছে চড়ে হারাচ্ছে দুই ছেলে সহ মগরব ,একই অবস্থা আমতলা গাতিপাড়া গ্রামের মিজান ডাকাতের ছেলে নজরুলের আর মুতাসাম খোকন এর বড়বড় চাঁদাবাজি মেইন হোতা হল আরমান ,এই আরমান হলো অস্ত্র মামলায় ফেরারি আসামি, আরমানের বিরুদ্ধে ওয়েন্ট আছে কিন্তু পুলিশ তাকে এরেষ্ট না করায় জনমনে পুলিশ প্রতি বিশ্বাস কমে যাচ্ছে।

এই মুতাসাম খোকন ৫ই আগষ্টের পরে বি এন পির সিনিয়র নেতা ,,সাবেক বি এন পির মেম্বার শহিদুল ইসলাম কে রক্তাক্ত করেন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে।এতে ও মুতাসাম খোকন খ্যান্ত হননি বি এন পির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির জনসভায় মুতাসাম নিজে উপস্থিত থেকে বোমা হামলা করেছিলো। তার অত্যাচারে এই জনপদের মানুষ অতিষ্ঠ কিন্তু জীবনের ভয়ে কেউ কথা বলেনি এতো দিন। অবশেষে বি এন পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কঠোর সিদ্ধান্তে উপর ভিত্তি করে যশোর জেলা বি এন পি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত হলো অপরাধী যতবড় নেতাই হোক না কেন কেউ ছাড় পাবে না।দলকে ক্লিন করতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের সর্তক করছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *