মুসলিমা জাহান রিমা,কয়রা:
খুলনার কয়রার বেদকাশী ব্লাড ডোনার ক্লাব ও হ্যালো বেদকাশী সংগঠনের সদস্যরাসহ সর্বস্তরের মানুষ র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক অঞ্চল হুমকির সম্মুখীন। তারমধ্যে এশিয়ার কয়েকটি দেশ বেশি বিপর্যয়ের মুখে, সেসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশ আরো বেশি বিপর্যয়ের মুখে। প্রাকৃতিক কারণের সাথে সাথে মানবসৃষ্ট কারণ, বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলো প্রত্যক্ষ কারণ। বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলার মধ্যে খুলনা,সাতক্ষীরা জলবায়ু বিপর্যয়ের দরুণ ব্যাপক ক্ষতির মুখে। প্রতি বছর ওয়াপদা রাস্তা ভেঙ্গে লোনা পানিতে ডুবছে ফসলের মাঠসহ বসত বাড়ি, মাছের ঘের। ফসলের ক্ষতি, সম্পদের ক্ষতি, মানুষের জীবন হুমকির সম্মুখীন, বাড়ছে জলবায়ু মাইগ্রেশন। এই দুই এলাকার মানুষ কাজ হারিয়ে বিভিন্নভাবে কষ্টে জীবন যাপন করছে, চাপ বাড়ছে শহরের। নারী, শিশু, বৃদ্ধ সবাই ভোগ করে নিদারুন কষ্ট। ব্যাহত হয় মৌলিক অধিকারের প্রতিটি অংশ। র্যালিতে বক্তারা এসব বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন অচিরেই টেকসই বাঁধ নির্মাণ এবং জীবন জীবিকার নিশ্চয়তার ব্যাবস্থা করা জরুরী।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ও একই বিষয়ে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিটি মানুষের সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য সকল ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থ সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের টেকসই উন্নয়ন ও উন্নত জীবনের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে আহ্বান জানানো হয় বক্তব্যে ও প্লাকার্ডে। এসময় অনেক শিশুদের তাদের সুন্দর ও নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তার দাবীতে প্লাকার্ড হাতে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়। সাতক্ষীরা ও খুলনার উপর দিয়ে বয়ে চলা কপোতাক্ষের তীরে গিয়ে শেষ হয় র্যালি ও সমাবেশ।