শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:১১ অপরাহ্ন
ইতালী প্রতিনিধি:
ইতালীতে মহামারী করোনার মধ্যে ইতালীআওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ফরাজীর প্রবাসীদের সাথে অভিনব প্রতারনার কারনে ইতালী আওয়ামীলীগের নেতারা উপহাসের পাএে পরিনত হয়েছে।তার এ কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে ফুঁসে উঠেছে এখানে অবস্হানরত প্রবাসীরা।তিনি গত রবিবার নামে মাএ কয়েক বস্তা চাল,ডাল,আটা, পেয়াছ নিয়ে খয়রাতি সাহায্যের নাম করে ফেইসবুক লাইভে এসে কিছু প্রবাসীদের দিতে গেলে বিপওি ঘটে।তারা এধরনের লোক দেখানো খয়রাতি সাহায্য প্রত্যাখান করেন।
অবশেষে ইদ্রিস ফরাজীর মালিকানাধীন ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জের কর্মচারীদের মধ্যে বন্টন করেন।এ অভিনব প্রতরনায় তাকে ধিক্কার জানিয়েছে তার নিজ দল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইতালিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ইতালী আওয়ামীলীগের সবচেয়ে সুবিধাভোগী মেয়াদউর্ওীন সভাপতি ইদ্রিস ফরাজী নিরাপদ দূরত্বে বাংলাদেশে স্বপরিবারে অবস্হান নেয়।যখন ইতালীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর মিছিল চলছে ঠিক তখন তিনি বাংলাদেশে ইউরোপ আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে গত ২১ মার্চ নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পরে।
তিনি গনভবনে যায় মেডিকেল কলেজ স্হাপনের তদবির ও ইতালী আওয়ামীলীগের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য।প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত না পেয়ে ব্যর্থ মনে চলে আসতে হয় তাদের।একটি সূএে জানা যায় গনভবনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা তাদেরকে বলেন আপনারা কিভাবে প্রবাসে নেতৃত্ব দিবেন? এ দূর্যোগের সময় কেন আপনারা বাংলাদেশে?দ্রুত আপনারা আপনাদের কর্মস্হলে চলে যান।একথা শুনে তড়িঘড়ি করে ইউরোপ আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম তার কর্মস্হল অস্ট্রিয়ায় ২২ শে মার্চ চলে যায়।
কিন্তু ইদ্রিস ফরাজী ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েও থেকে যায় বাংলাদেশে।এবং নিয়মিত তার ফেইজবুকে হাস্যোজ্জল পোস্ট দিতে থাকে।এ নিয়ে কয়েকটি অনলাইন পএিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তা মুর্হুতেই ভাইরাল হয়ে যায়।ক্ষুব্ধ হয় প্রবাসীরা।টনক নড়ে ইদ্রিস ফরাজীর।তিনি তার নিজস্ব ফেইজবুক আইডিতে প্রবাসীদের সহযোগিতার কথা বলে তার ইমু নম্বরে বা ম্যসেন্জারে যোগাযোগ করতে বলে।কিন্তু সু চতুর ফরাজী তার সাথে কিছু লোক যোগাযোগের করলে তিনি মোবাইল বন্ধ করে রাখেন।
এতে আবারো ক্ষিপ্ত হয় তার নিজদল আ লীগের নেতা কর্মী সহ প্রবাসীরা।অবস্হা বেগতিক দেখে গত রবিবার ২৯ মার্চ লোক দেখানো কয়েকবস্তা চাল,ডাল,ময়দা, পিয়াজ নিয়ে তাট পোষ্য ২ জন ফেইজবুক লাইভে আসে।তারা লাইভে বলেন রোমের সব প্রবাসীদের তারা এ খাদ্য দিবে।কিন্তু বাস্তবে মাএ কয়েক বস্তা।যার দাম সর্বোসাকূলে কয়েকশত ইউরো হতে পারে।
এরপর তারা গাড়ী নিয়ে কয়েকজন প্রবাসীর কাছে গেলে তার এই খয়রাতি সাহায্য নিতে অপরগতা প্রকাশ করে।অবশেষে নামেমাএ এইসব সাহায্য তিনি তার প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জের কর্মচারীদের মধ্যে বিতরন করেন।উল্লেখ্য ইতালীতে খাদ্যদ্রব্য স্বল্প দামে সহজলভ্য।সবার বাসায়ই পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ রয়েছে।প্রবাসীরা ৃনে করে ইদ্রিস ফরাজীর এহেন কর্মকান্ড তাদেরকে প্রবাসে ও নিজ দেশে ছোট করেছে।এই ছোটকরার অধিকার তার নেই।
যদিও দীর্ঘ দিন লক ডাউন থাকায় কিছু লোক সময়মত বেতন না পাওয়ায় বাড়ি ভাড়া,গ্যাসবিল,বিদ্যুতবিল,পানির বিল, বাচ্চাদের খাদ্য বাওষুধেরকেনার টাকার জন্য সমস্যা হতে পারে।তাদেরকে আর্থিক কিছু সহয়তা ব্যতিত লোকদেখানো খয়রাতি সাহায্যসত্যিই বেদনাদায়ক। ইদ্রিস ফরাজী বছরের একমাস ইতালীতে অবস্হান করেও লোভনীয় সভাপতি পদ আকড়ে রেখে দল থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।