শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:০৬ অপরাহ্ন
ইতালী প্রতিনিধি:
ইতালীতে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় ইউরোপ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের স্থান হয়নি মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে কোন মূল্যয়ন না করায় খুশি হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তৃনমূল নেতাকর্মীরা। ইতালীর সাথে দ্বিপাক্ষিক সফরের অংশহিসেবে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে প্রধানমন্ত্রী রোমে ডি পার্কে ডেই প্রিন্সিপাল গ্র্যান্ড হোটেলে আসেন। সেখানে রাতে তিনি ইতালী আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংবর্ধনায় অংশ নেন। সংবর্ধনা মঞ্চে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন, ইতালী রাষ্ট্রদূত আঃ সোবহান শিকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরীফ, ইতালী আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজী, সাধারন সম্পাদক হাসান ইকবাল। এখানে স্থান হয় নাই ইউরোপ আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মুজিবর রহমানের।
ইতালী আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নাম দেওয়া হলে তিনি সরাসরি নাম কেটে দেন। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সংবর্ধনায় ইউরোপের আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থান পেত। এর আগের সভাপতি অনিল দাস ও সম্পাদক গনি এই সম্মান পেত। সম্প্রতি নজরুল ইসলামকে সভাপতি ও মজিবুর রহমানকে সাধারন সম্পাদক করার পর তারা বিতর্কিত হয়ে পরেন। সুসংগঠিত ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের তাদের ক্ষমতাবলে জামায়াত বিএনপির অনুপ্রবেশকারীদের স্থান দেয়। এর ফলে বিভিন্ন দেশের দুইটি কমিটির কার্যক্রম বিদ্যমান। জার্মানীতে সম্মেলন করতে যেয়ে অনুপ্রবেশকারীদের দলের গুরুত্বপূর্ন যায়গায় স্থান দেয়ার কাউন্সিলররা নজরুলকে লাঞ্চিত করে। এরপর নজরুল অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে পকেট কমিটি করে। সেখানে দুইটা কমিটি বিদ্যমান। বেলজিয়াম আওয়ামী লীগেও দুইটি কমিটি, ইতালী আওয়ামী লীগ, সুইডেন, ডেনমার্ক, গ্রীস, ও পর্তুগালেও একই অবস্থা।
এমনকি সভাপতির দেশ অস্ট্রিয়াতেও দুইটি কমিটি।
দর্শক সারিতে এম নজরুল
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায় এসব কারনে প্রধানমন্ত্রী তাদের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। এবং এর বহিঃপ্রকাশই মঞ্চে স্থান না দেয়া।এমনকি দেশেও দুইবার গিয়ে এম নজরুল গিয়ে এ ক্ষোভ দমনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতপ্রার্থী হলেও সাক্ষাত পায় নাই। গত বুধবার ইতালী এম্বাসীর স্থায়ী ভবন উদ্বোধনের সময় তাদের দেখা মেলে নাই প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে। প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকে এড়িয়ে যাওয়ায় খুশি হয়েছে ইউরোপের তৃনমূল নেতাকর্মীরা। তারা অপেক্ষায় আছে কোনসময় এ অকার্যকর কমিটি বাতিলের ঘোষনা আসে।
এক তৃনমূল আওয়ামী লীগ নেতা জানায় এ ইউরোপ কমিটি গোদের উপর বিষফোড়ার মত। তারা নিজেদের ক্ষমতায় ইউরোপ আওয়ামী লীগকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে। মোটকথা ইউরোপ আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয়তা নেই। ইউরোপ আওয়ামী লীগের কমিটি না থাকলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভালো থাকবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি চাই। নইলে ইউরোপের সব দেশের আওয়ামী লীগ বিশৃংখলায় পর্যবসিত হবে।